ক্রাইম রিপোর্টার।।ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মূল হত্যাকারীর নামই শিমুল ভূঁইয়া। আমানুল্লাহ তার ছদ্মনাম। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। খুলনার ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে তার বাড়ি।খুলনা তথা দক্ষিণ জনপদের নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দল এমএল জনযুদ্ধের প্রধান শিমূল ভূঁইয়া। এ অঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হত্যার মাষ্টার মাইন্ড তিনি। নিষিদ্ধঘোষিত এ সন্ত্রাসী দলটির কার্যক্রম না থাকলেও আঞ্চলিক নেতা শিমূল ভূঁইয়া ভেস বদল করে দলটির কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। বছরের পর বছর ধরে সংগঠিত করে রেখেছেন এ সংগঠণের মতাদর্শীদের। টাকার লোভে অনেক ভাড়াটে খুনিরাও তার গ্রুপের কিলিং মিশনে কাজ করছে বলে জানা গেছে।শিমুল ভূঁইয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে মুক্তা বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য। তার আরেক ভাই শিপলু ভূঁইয়া দামোদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বর্তমান সরকারের আমলেই তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নতুন করে নিজেদের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলে শিমুল ভূঁইয়ার ইশারায় বেশ কিছু রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের ঘটনা রয়েছে। তিনি বছরের পর বছর আত্মগোপনে থেকেই কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী নিজের অনুসারী খুনিদের দিয়ে এসকল হত্যাকান্ডের বাস্তবায়ন করেন।বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।ডিবিপ্রধান বলেন, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা চলছিল দু-তিন মাস ধরে। মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের গুলশান ও বসুন্ধরার দুটি ফ্ল্যাটে একাধিক বৈঠক করেছিল হত্যাকারীরা।তিনি বলেন, ভিকটিম প্রায়ই কলকাতায় আসা-যাওয়া করেন, তাই কলকাতার মাটিতেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।হারুন বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী মূল হত্যাকারী শিমুল ভূঁইয়া, তার সহযোগী তানভীর ভূঁইয়া এবং আখতারুজ্জামান শাহিনের গার্লফ্রেন্ড শিলাস্তি রহমান গত ৩০ এপ্রিল কলকাতায় যান।তিনি বলেন, মূল হত্যাকারীর নাম শিমুল ভূঁইয়া হলেও তিনি আমানুল্লাহ আমান নামে নতুন একটি পাসপোর্ট করে সেখানে যান।হারুন বলেন, ১৩ মে বিকেল ৩টার দিকে হত্যাকারীরা আনোয়ারুল আজিমকে নিয়ে কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করেন হত্যাকাণ্ড। এরপর লাশ খণ্ড খণ্ড করে মসলা মিশিয়ে ট্রাভেল ব্যাগে করে ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন দিন বাইরে বের করে নিয়ে যায়।তিনি বলেন, মরদেহ পাওয়ার আশা খুবই কম, তারপরও চেষ্টা করছি কিছু খণ্ড উদ্ধার করতে।