ওয়াহিদ মুরাদ।।খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ১৩ মে সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব মা দিবস ও জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ’২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গর্ভধারণ থেকে প্রসব, অবর্ণনীয় যন্ত্রণা,তারপর তিলেতিলে সন্তানকে লালন-পালন করা।এমনকি সন্তান বড় হয়ে গেলেও মঙ্গল কামনায়থাকেনা “মা” এর কোনো কমতি।এমন মমতাময়ী মা এর জন্য সন্তানের ভালোবাসা চিরন্তন, এই ভালোবাসা প্রতিদিনের, প্রতি মুহূর্তের। তারপরও একটি দিন বিশেষভাবে মাকে সম্মান-ভালোবাসা জানাতেই মা দিবসের প্রচলন।প্রতিবছর এই দিনটি পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস হিসেবে।বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিনটি।তারই ধারাবাহিকতায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে ১৩ মে সোমবার সকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে মা সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিঘলিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিপাশা দেবী তনু।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) দেবাংশু বিশ্বাস, দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাহবুব আলম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ তরিকুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনজুরুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোনায়েম খান এবং উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা সাইদা খাতুনসহ আরো অনেকে।এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মা দিবস পালন করা হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। আজ পৃথিবীর সেই সকল মমতাময়ীর সম্মানে বিশ্ব মা দিবস। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন এটি। মা, ভালোবাসার এক অফুরন্ত ভান্ডার। তার আত্মত্যাগেই আমাদের জীবন হয় সুন্দর। আমাদের প্রত্যেক আনন্দ,সুখ, দুঃখ যে নিজের করে নিয়েছে, সেই মা গুলোকে জানাই মা দিবসের শুভেচ্ছা।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসি ল্যান্ড দেবাংশু বিশ্বাস বলেন, মা দিবস পালনের রীতি শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯১৪ সাল থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় মা দিবস হিসেবে। এ দিনটিতে মায়ের সাথে সময় কাটিয়ে আর উপহার দিয়ে মা’কে শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করে সন্তানেরা।জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে আনা জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জার্ভিসের উদ্যোগে মা দিবসের সূচনা হয়। আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান। লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন।সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় মা দিবস। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।বিশ্ব মা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ওই একই স্থানে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, পুষ্টিকর খাবার প্রস্তুত প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।