রামপাল প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে প্রথম ধাপেই।গেল বুধবার (০৮ মে)।তবুও নির্বাচনের রেশ যেন কাটছেই না । অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ এনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনের পর সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।এর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।সোমবার (১৩ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কালেখারবেড় পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জয়দেব কুমার জানান,গত ৮ মে ২০২৪ বুধবার রামপাল উপজেলা পরিষদের নির্বচান অনুষ্ঠিত হয়।ওই নির্বচানে ৫ নং ওয়ার্ডের হিন্দু বাসিন্দারা তাদের পছন্দমত কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী জামিল হাসান জামুকে ভোট দেন।এর ফলে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমার্থক ফলাফলের অপেক্ষা না করেই রাজানগর ইউনিয়নের কালেখারবেড় গ্রামে ঢুকে পড়ে।রাজনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন ও মিজানুর রহমান ওরফে বোমারু মিজানের নেতৃত্বে ৫/৬ টি মোটরসাইকেল ভর্তি লোকজন এসে গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালায়।ওই সময় অনুপ অধিকারী, উজ্জ্বল অধিকারী, রূপকুমার মল্লিক, বিভাষ অধিকারী, রুইদাস মন্ডলসহ অনেকেই আহত হন।এদের মধ্যে রুইদাস মন্ডলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য আরও জানা যায়, বোমারু মিজান দীর্ঘদিন ধরে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করে আসছে। নির্বচানের পরে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।এছাড়াও মিজান প্রতি গোনে জোয়ারের পানি তুলে ঘেরের মাছ বের করে,মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ভুক্তভোগী অনুপ অধিকারী, রুইদাস, রূপ কুমার মল্লিক, মৃগেন মন্ডলসহ দুই শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য গত বুধবার (০৮ মে) প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ২৪৯ ভোটের ব্যাবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতিকের এস এম জামিল হাসান জামুকে হারিয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।