এস এম জয় ই মামুন বিশেষ প্রতিবেদক।।গত ১৪ জুলাই রবিবার ২০২৪ইং তারিখে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজান-নগর ইউনিয়নের কালিঞ্চী গ্রাম থেকে বাংলাদেশ সিমান্তরক্ষী বাহিনীর কৈখালী বিজিবির সদস্যরা সাজিদা বেগম (১৯) ও হাজরা বেগম (২১)নামের দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেন।সাজিদা কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বাঁশনল ক্যাম্পের সদস্য।অপরদিকে হাজরা (২১) কক্সবাজার সদরের ১৮ নং ক্যাম্পের সদস্য।এ ঘটনায় ঐ দুই রোহিঙ্গা নারীসহ মানব পাচারকারী চক্রের হোতা আব্দুল্লাহ তরফদারকে আটক করে শ্যামনগর থানা-পুলিশে হস্তান্তর করেন সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা।বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করেন বিজিবি সদস্যরা,যার নাম্বার -১১/২৩৩।এই মামলায় ২ নং আসামি হিসাবে সাংবাদিক আব্রাহাম লিংকনকে জড়িয়ে দেওয়া হয়।আর এতেই বাড়ে বিপত্তি, বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সাংবাদিক মহলে।সাংবাদিক মহলের দাবি নিরীহ এই গণমাধ্যম কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক। সূত্রে জানাযায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার প্রতিনিধি আব্রাহাম লিংকন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ পাচারের বিষয় জানতে পেরে অনুসন্ধান শুরু করেন।এই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে উপজেলার কৈখালী আর,বিজি,বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লিয়াকত ও একটি চক্র ভেটখালী দিয়ে বিশাল একটি ইলিশ মাছের চালান অবৈধ ভাবে ভারতে পাঠানো হবে। প্রায় তিন হাজার কেজি মাছ,যার আনুমানিক মূল্য ত্রিশ লাখ টাকা।খুলনার আরিফ ও সাতক্ষীরার জাহাঙ্গীর এই দুজনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় চোরাকারবারিদের সহযোগিতায় ভারতে পাঠানো হবে।এ জাতীয় একটি সংবাদ লিংকন গণমাধ্যমে প্রকাশ করলে তারই প্রেক্ষিত পরিকল্পিত তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।এছাড়া গত ১৫ জুলাই মামলা রুজুর সময় আব্রাহাম লিংকন নিজস্ব কাজে ঢাকাতে অবস্থানরত ছিলেন যা ইন্টারপোল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তদন্ত করলে জানাযাবে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লিয়াকত নিজের এলাকায় চাকুরি করার ফলে ইচ্ছে মত চোরাকারবারিদের সাথে সম্মিলিত ভাবে কাজ করে আসছে।তবে বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লিয়াকত বিষয়টি অস্বীকার করে থানা-পুলিশের উপর দ্বায়ভার চাপিয়েছেন।অন্যদিকে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তাহার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।